প্রকাশিত: ০৪/০৩/২০১৮ ৮:১৭ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৫১ এএম

বান্দরবান প্রতিনিধি::
সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবির পক্ষ হতে ৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পর জিরো লাইনে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশ থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সরে গেছে। তবে ঘুনধুম ও তুমব্রু সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর প্রহরায় কাঁটা তারের বেড়ার সংস্কার কাজ চলছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশেই পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে এসব সেনাবাহিনী। অন্যদিকে মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা আগের মতই কাঁটা তারের বেড়া ঘেঁষে পাহারা দিচ্ছে সীমান্ত। গতকাল শনিবার বিকেলেও বেশ কয়েকটি ট্রাকে করে সেনাবাহিনীর সদস্যদের এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে দেখা গেছে। জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গারা বলছে– শুক্রবার বিজিবি তুমব্রু কোনাপাড়ার কাছে ৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পর বর্মী সেনাবাহিনী কাঁটা তারের বেড়ার কাছ থেকে সরে গেছে। তবে তারা কাছেই পাহাড়ের উপর অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তুমব্রু এলাকার বাইরে ফাত্রাঝিড়ি ও ঘুনধুম এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাহাড়ায় কাঁটা তারের বেড়ার নির্মাণকাজ চলছে। জিরো লাইনের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশ থেকে বর্মী সেনাবাহিনীর সদস্যরা সরে যাওয়ায় এখন কিছুটা স্বস্তির মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গারা। সম্প্রতি তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার হঠাৎ করে ভারী অস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর সংখ্যা বাড়াতে থাকলে শুক্রবার বিজিবি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সীমান্তের জিরো লাইনে ৩টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। এসব ক্যামেরার সাথে ইনফ্রারেডও সংযুক্ত করা হয়েছে যাতে রাতের বেলায়ও ভাল দেখা যায়। শুক্রবার ঘুনধুম সীমান্তের মৈত্রী সেতু এলাাকায় দুদেশের সীমান্ত বাহিনীর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানায়– যে তারা সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ বা ফাঁকা গুলিবর্ষণের আগে বিজিবিকে জানাবে। তবে এখনো সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়ার কাছে সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা যাচ্ছে।
জিরো লাইনের রোহিঙ্গা আবদুল আলিম ও নুরুল আলম জানান– এখন কাঁটা তারের বেড়ার কাছে বিজিপির সদস্যদের শুধু দেখা যাচ্ছে। তবে সেনাবাহিনী কাঁটা তারের বেড়া থেকে সরে কিছুটা দূরে পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে। সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনী ও বিজিপি সদস্যরা কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চালাচ্ছে। জিরো লাইনের কাছ থেকে সেনাবাহিনী সরে যাওয়ায় তারা এখন কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন বলে জানান। রোহিঙ্গা নারী জুবাইদা বেগম জানান– কাঁটা তারের কাছ থেকে সেনাবাহিনী সরে গেলেও আমাদের আতংক কাটেনি। তারা আবারো যেকোনো সময় আসতে পারে। কারন তারা কাছেই রয়েছে। অন্য একজন নারী আলিমা খাতুন জানান– দুদেশের সরকার যাই করুক, আমরা জিরো লাইনে থাকতে চাই না। অন্যদের মত আমাদেরও কুতুপালং শিবিরে নিয়ে গেলে বেঁচে যাই।
এদিকে এ বিষয়ে বিজিবির কক্সবাজারের ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানান– শুক্রবারের পতাকা বৈঠকের পর সীমান্ত পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভাল। কাঁটা তারের বেড়ার কাছ থেকে তাদের সেনা সদস্যরা সরে গেছেন। আশা করা হচ্ছে আগামীতে সীমান্তের পরিস্থিতি আরো ভাল হবে।

পাঠকের মতামত

১৫০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে ২৮৫ সেনাকে নিয়ে ফিরবে মিয়ানমারের জাহাজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জা‌নি‌য়ে‌ছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ ...

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...